ভূমিকম্পের ৫২ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত ভবন থেকে শিশুকে জীবিত উদ্ধার

ভূমিকম্প
  © আল জাজিরা

তুরস্ক ও সিরিয়া যেনো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার ভোররাতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল আর সিরিয়ার প্রায় ৬ হাজার ভবন। ভূমিকম্পের পর ৪৮ ঘন্টায় প্রতি মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হয়ে আসছে মরদেহ। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছে ৭১০৮ জন এবং সিরিয়ায় মারা গেছে ২৫৩০ জন। আহত হয়েছে ৩৯ হাজারের বেশি।

মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)

তীব্র শীতের মধ্যেই ভূমিকম্পে ধসে পড়া হাজারো ভবনের নিচে আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন উদ্ধারকর্মী, দমকলকর্মী, চিকিৎসাকর্মী, সামরিক ও বেসামরিক মানুষ। তুরস্কে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫টি বিমান। এদিকে প্রাণহানি বাড়ায় তুরস্কের ১০ প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সহায়তা পৌঁছেছে তুরস্কে। একযোগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে তুর্কি সেনাবাহিনীর সাথে। ১১০ জন উদ্ধারকর্মীর দল পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বৈরি আবহাওয়া, ভারী যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো এবং সেখানে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।

তবে ভূমিকম্পের ৫২ ঘণ্টা পর আরও একটি সফল উদ্ধার অভিযানের চিত্র দেখা গেছে। একটি তরুণ তুর্কি ছেলেকে দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি হাতায়ে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

তুরস্কের হাতায়ে ভূমিকম্পের প্রায় ৫২ ঘন্টা পরে একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিরাপদে টেনে আনা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম ইগিট ক্যাকমাক। তার বয়স মাত্র ৮ বছর। 

ধসে পড়া বিল্ডিং থেকে উদ্ধারের পর ইগিট ক্যাকমাক হাসছিলেন। এর পরে কান্নারত মায়ের কোলে আট বছর বয়সী ইগিট ক্যাকমাককে তুলে দেওয়া হয়েছে।