বাবার হয়ে জেল খাটার আবেদন করলেন মেয়ে

বাহরাইন
মেয়ে মরিয়ম আল-খাজা  © দ্য গার্ডিয়ান

বাহরাইন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১১ সালে আব্দুলহাদি আল-খাজাকে আটক করা হয়। এরপর ২০১২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাহরাইন ছাড়াও আব্দুলহাদির ডেনমার্কের নাগরিকত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেল থেকে এখনো এ মানবাধিকারকর্মীকে বের করা যায়নি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এক যুগেরও বেশি সময় জেলে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো মৃত্যু হতে পারে তার। এমন পরিস্তিতিতে তার মেয়ে মরিয়ম আল-খাজা বাবার হয়ে জেল খাটার আবেদন করেছেন। 

এ ব্যাপারে মরিয়ম আল-খাজা বলেছেন, ‘আমি জানি না আমার বাবা আর কতদিন বাঁচবেন। আমি প্রতিদিন ভীতি নিয়ে বাস করছি, যখনই ফোন বেজে ওঠে; আমি মনে করি কেউ হয়ত ফোন করেছে বলার জন্য আমার বাবা আর নেই।’

মরিয়ম আরও বলেন, ‘আমি জানি তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু শাস্তি দিতে তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কফিনে করে আমারা বাবা মুক্তি পাবেন, ওই সময় পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করতে পারব না। আমি এটি পারব না।‘

সাম্প্রতিক সময়ে আব্দুলহাদির স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তাই তার মেয়ে চান জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো যেন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হয়। অন্যান্য দেশের মতো বাহরাইনেও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এর জেরে পরবর্তীতে অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজন হলেন আব্দুলহাদি আল-খাজা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


মন্তব্য