কাশ্মিরে মুসলিম যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়তে হিন্দু গেরিলাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ভারত

কাশ্মীর
সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছে তারা  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিজীবী সঞ্জিত কুমার যিনি কাশ্মিরের বাসিন্দা। তিনি ‘অল হিন্দু মিলিশিয়া ইউনিটে’ যোগদান করেছেন। তার মতো এরকম আরও ৫০০০ হিন্দু এই সংগঠনে যোগ দিয়েছে। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্য কাশ্মিরে মুসলিম যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। 

মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার গত এক দশক ধরে প্রায় ৫ লাখ সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে। 

এরই মধ্যে গত বছর নতুন মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেছে ভারত সরকার। কাশ্মিরে মুসলিম যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এই বাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তিও করা হয়েছে। 

এ বছরের জানুয়ারিতে কুমার ফনটিয়ার গ্রামে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে ৩২ বছর বয়সী একজন সরকারি মিউনিসিপাল কর্মী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

সঞ্জিত কুমার হিন্দু মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগদানের পর তার কপালে জাফরাণ রঙের একটি তিলক দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন তার বাড়িটি রক্ষা করতে পারবেন বলেন জানান। 

এএফপিকে তিনি বলেন, যে আমাদের জাতীর ওপর হামলা করবে সেই আমাদের টার্গেটে পরিণত হবে। 

গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নামে ভারত সরকারের গঠন করা নতুন মিলিশিয়া ইউনিট গত বছর থেকে কাজ শুরু করে। তবে স্থানীয় মুসলমানদের আশঙ্কা, হিন্দুদের সশস্ত্র এ তৎপরতায় কাশ্মীর সংকট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে। একটি সম্প্রদায়ের তরুণ-যুবকদের মধ্যে এভাবে অস্ত্র ছড়িয়ে দেয়া কারো জন্য ভালো হবে না বলে স্থানীয় মুসলিমরা মনে করছেন। এতে উত্তেজনা আরো বাড়বে বলে তাদের ধারণা।

১৯৪৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে এ পর্যন্ত দুদেশের মধ্যে অন্তত তিনবার যুদ্ধ হয়েছে। দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি মুসলিম স্বাধীনতাকামী সংগঠন গড়ে উঠেছে। 

ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক দশকের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা করছেন। এজন্য তিনি ২০১৯ সালে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছেন এবং এখন সেনাবাহিনীর পাশাপাশি হিন্দু মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করলেন।

সূত্র: বাররনস


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ