বাংলাদেশী আলিফার চিঠির জবাব দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ইনসেটে বাংলাদেশী শিশু আলিফা চীন)  © সংগৃহীত

সম্প্রতি বাংলাদেশের এক শিশুর লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চিঠিতে শি তাকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে উপদেশ দেন। নিজ লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং বড় হয়ে বাংলাদেশ ও চীনের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও বলেছেন।

আজ বুধবার (৩১ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

শি জিনপিং তার চিঠিতে লিখেছেন, আলিফার স্বপ্ন বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। আলিফা চীনের চিঠি দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের একটি ভালো উদাহরণ। প্রাচীন কাল থেকেই চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু, যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।

চীনা প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌ-বাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজের (দ্য পিস আর্ক) একজন চীনা মহিলা সামরিক ডাক্তার শিশু চীনের মাকে বিপজ্জনক সময়ে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর চীনের বাবা তার নাম রেখেছেন চীনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে ‘চীন’। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।

তিনি জানান, চীন বড় হয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হতে চান জেনে তিনি খুবই আনন্দিত।

আলিফা চীন ভবিষ্যতে চীনের একটি মেডিকেল স্কুলে পড়তে চায় যাতে তার মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- চীন তার যৌবনকালের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে।

আলিফা চীন নামের শিশুটির জন্ম ২০১০ সালে। আলিফা গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মায়ের হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যা দেখা দেয়। এতে তাকে জন্মদান করাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। এসময় বাংলাদেশ সফরে এসেছিল চীনা নৌবাহিনীর একটি হাসপাতাল জাহাজ 'দ্য পিস আর্ক'। এই সংবাদ জেনে, স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে আসেন জাহাজের সামরিক চিকিৎসকরা। খুবই সতর্কতার সাথে তারা সিজারিয়ান সেকশন সম্পন্ন করেন। এভাবেই মা ও কন্যা শিশু উভয়ের প্রাণরক্ষা হয়। এই ঘটনার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মেয়ের পুরো নাম আলিফা চীন রাখেন তার বাবা।

আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস। এই উপলক্ষে চিঠিতে আলিফার সুস্বাস্থ্য, পড়াশোনায় সাফল্য ও সুখী পারিবারিক জীবন কামনা করেন শি।