‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্র বিষয়ে দিল্লির থেকে যে ব্যাখ্যা পেল বাংলাদেশ

অখণ্ড ভারত
ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবনে অখণ্ড ভারতের মানচিত্র  © সংগৃৃহীত

সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’এর একটি মানচিত্র রাখা হয়েছে। এই মানচিত্রে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা – সব দেশগুলিকেই দেখানো হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির এক নেতা এই মানচিত্রের ছবি পোস্ট করার পর এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। নেপাল ও পাকিস্তান এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

বিষয়টি নিয়ে দিল্লির মন্তব্য জানতে চায় ঢাকা। জবাবে ভারত জানিয়েছে, মানচিত্রে সম্রাট অশোকের রাজত্বকাল বোঝানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রফিকুল আলম বলেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে, যেখানে একটি মানচিত্র রয়েছে বলে আমরা অবহিত হয়েছি। ’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রাথমিক মন্তব্য করেছেন জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় আমরা ভারতের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি, সেটি হলো সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি এবং সে সময় সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে সংঘটিত জবাবদিহিমূলক এবং মানুষের উন্নয়নকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতীকী হিসেবে আলোচিত ম্যুরালটি স্থাপিত হয়েছে। ’

মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘ওই ম্যুরাল স্থাপনের মূল ভাবনা ছিল ঐতিহাসিক প্রাচীন ভারত, বিশেষত সম্রাট অশোকের রাজত্বকে ফুটিয়ে তোলা। আমরা এই মর্মে অবহিত হয়েছি যে ম্যুরালটিতে সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যখচিত হয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমে “অখণ্ড ভারত” নামে প্রচার করা হয়েছে। ’

এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা দিল্লিতে আমাদের মিশনকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সরকারি ব্যাখ্যাটা কী, সেটা জানতে বলেছি। ’

গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি ম্যুরালটিকে ‘অখণ্ড ভারত’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। মূলত নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে অখণ্ড ভারতের এক মানচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই অখণ্ড ভারতের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার।