নোয়াখালীতে ইউ.পি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

নোয়াখালীর কবিরহাটে  মিথ্যা মামলা দিয়ে আ.লীগ নেতা আতিক উল্যাহ’সহ নিরীহ লোকজন কে  হয়রানির প্রতিবাদে ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন কয়েকশ নারী-পুরুষ। 

শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা  ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে এ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে সমাবেশও করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ধানশালিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন নিজে ও তার ভাতিজিকে দিয়ে ইভটিজিংয়ের দুটি মামলা করেছেন। এতে তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতিক উল্যাহ সহ অনেককে আসামি করেছেন।রাজনৈতিক  প্রতিহিংসার কারণে তিনি এই সামান্য বিষয়টিকে অনেক বড় আকারে তুলে ধরেছেন। আমরা চাই তিনি (চেয়ারম্যান)  অতি দ্রুত তার দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা করুক। আমরাও চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।প্রকৃত ইভটিজিংকারিদের আইনের আওতায় আনা হোক। তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যানের ছেলের নেতৃত্বে  হামলায় গুরত্বর আহত নিরিহ দীপুর বাবা বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।সে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুক। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪ জুন রাতে বোনকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের ছেলে জিহাদ বন্ধুদের নিয়ে দিপু নামে একজনকে মারধর করেন। এ ঘটনায়  স্থানীয়রা জিহাদকে আটক করে রাখলে চেয়ারম্যান তাকে উদ্ধার করতে আসলে তিনিও হেনস্তার শিকার হন।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় মামলা করেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের আসামি করেন। এছাড়া একই আসামিদের বিরুদ্ধে ৭ জুন চেয়ারম্যান তার ভাতিজিকে দিয়ে থানায় আরও একটি মামলা করান বলে জানান অভিযোগ কারীরা। 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুটি মামলাতেই প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত আক্রোশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করেছেন। দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশে নারী নেত্রী ঝর্ণা, আকাশী, মাহবুবা, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন, রকি সহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জানতে ধানশালিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।