রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৩ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৩ PM

রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলায় ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা ভিয়েনা কনভেনশন নীতিমালার (ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত 'সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু' সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত যে বিবৃতি দিয়েছেন সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক দলের মতো। রাষ্ট্রদূতদের জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া, এটি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি যা ভিয়েনা কনভেনশনে আছে, সেটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধু রাষ্ট্রদের অনুরোধ জানাব ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার জন্য।
আরও পড়ুন:- হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ১২ দূতাবাসের বিবৃতি
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় বা আশেপাশে অন্যদেশে যখন সহিংসতা হয় সেখানে তো রাষ্ট্রদূতরা এভাবে বিবৃতি দেয় না। আমাদের দেশে কেন এভাবে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেওয়ার জন্য তাদেরকে প্ররোচণা দেয়। তাই রাষ্ট্রদূতদের দোষারোপ করার আগে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে আমি মনে করি যারা তাদেরকে প্ররোচণা দেয় তারা এক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।
গত দুইদিনের পদযাত্রায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার যদি পদত্যাগ না করে তাহলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্য স্পষ্ট, ওনারা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করবে সরকার। একই সঙ্গে যারা সহিংসতার সৃষ্টি করবে আমাদের দলও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকবে।
আরও পড়ুন:- আন্দোলনের নামে আবারো মানুষের ক্ষতি করলে ধরে ধরে শাস্তি দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের ব্যাচধারী একদল লোক হিরো আলমের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় গতকাল বুধবার কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাসগুলো নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। ১২ দূতাবাস ও হাইকমিশনের এই বিবৃতি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।