একমাত্র এরদোগানই পারেন পুতিনকে শস্যচুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে: ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০২ PM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০২ PM

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা মনে করেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ইউক্রিনফর্ম নিউজ এজেন্সির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।
দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ইউক্রেন এরদোগানের সঙ্গে পুতিনকে কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তিতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমন্বয় করছে। অন্যদিকে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গেও সমন্বয় করছেন। এরদোগানই একমাত্র নেতা যিনি চাইলে এই চুক্তিতে উভয়ই দেশকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
তিনি পুতিনকে চুক্তিতে ফিরিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে বুধবার এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন নির্ধারিত সফরে তুরস্কে যেতে সম্মত হয়েছেন। সেখানে তুর্কি নেতা বলেন, আঙ্কারা এখন স্থগিত হওয়া কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি পুনঃস্থাপনের জন্য কূটনীতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তুরস্ক নিজেকে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া এরদোগান শস্যচুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উভয় দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মস্কো গত মাসে এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। এর পর থেকে ইউক্রেনের কৃষি ও বন্দর অবকাঠামোতে হামলা চালায় রাশিয়া।
মস্কো বারবার বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে একটি সহগামী চুক্তি বাস্তবায়িত হলে অবিলম্বে চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত।
এর আগে এরদোগান বলেছিলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে পুতিনের পরিকল্পিত সফর কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এরদোগান এ চুক্তিকে ‘শান্তির সেতু’ বলে বিবেচনা করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন এরদোগান।
তিনি বলেন, কৃষ্ণসাগরে দীর্ঘমেয়াদি স্থগিতাদেশ কারও উপকারে আসবে না। এতে নিম্নআয়ের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পর শস্যের দাম ২৩ শতাংশ কমেছিল। তবে গত দুই সপ্তাহে তা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাশিয়া চুক্তিতে তার অংশগ্রহণ স্থগিত করে। জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেমে থাকা তিনটি ইউক্রেনীয় কৃষ্ণসাগর বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরুর জন্য তুরস্ক, জাতিসংঘ এবং ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছিল রাশিয়া।