পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তি: ইমরানকে বাইরে রেখে চলছে ভোটের প্রস্তুতি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ০২:৩৪ PM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৬ PM

পাকিস্তানের সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তবে সংসদ ভেঙে দেবার নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনটি সম্ভবত বিলম্বিত হতে যাচ্ছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে অন্তবর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দেশটিতে জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দেশটিতে গত সপ্তাহেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালতের তার কারাদণ্ড হওয়ায় তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য হয়ে গেছেন।
তিনি প্রকাশ্যে দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং বলেছিলেন সামরিক বাহিনী আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী বুধবার সংসদ ভেঙে দেয়ার আদেশ দেয়ার পর একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও তার সরকারের হাতে নতুন অন্তর্বর্তী নেতার নাম চূড়ান্ত করার জন্য তিনদিন সময় আছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, “জনশুমারি শেষ হলেই নির্বাচন হবে। এ জন্য চার মাস সময় দরকার হবে। ফলে নির্বাচনটি আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে”।
পাকিস্তানের সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সাংবাদিকদের সম্প্রতি বলেছিলেন যে এ বছর নির্বাচন নাও হতে পারে।
যদিও দেশটিতে এমন আলোচনা আছে যে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার মূল কারণ হলো ইমরান খানের জনপ্রিয়তার কারণে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এর জোট নির্বাচনের জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। পাশাপাশি আইএমএফ এর সহযোগিতা সত্ত্বেও ব্যাপক মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সেখানে।
সাউথ এশিয়া ইন্সষ্টিটিউট উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, নির্বাচনের যে কোন বিলম্বের কারনে লাভবান হবে মূল অংশীদার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজ(পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। কারণ, তারা তখন খানের পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিকে মোকাবেলা করার সময় পাবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে বিলম্ব জনগণকে আরো ক্ষুব্ধ করে তুলবে।