হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেছেন, নিজেদের উত্তর ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো আগ্রহ নেই ইসরায়েলের। লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহ যদি সংযত থাকে, তাহলে সীমান্ত পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই রাখবে ইসরায়েল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে গোলা বিনিময় চলছে ইসরায়েলের।

রবিবার বিকেলে উত্তর ইসরায়েলজুড়ে হামলার সাইরেন শোনা যায়। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, লেবানন থেকে ছোড়া ৯টি রকেটের মধ্যে তারা ৫টিকে নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রকেট উৎক্ষেপণ স্থলে কামানের গোলা ছুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিরব দেশ ও সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া নিন্দা ইরান প্রেসিডেন্টের

ইয়োভ গ্যালান্ট সাংবাদিকদের বলেন, 'উত্তরে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো আগ্রহ আমাদের নেই। আমরা উত্তেজনা আর বাড়াতে চাই না।'

'হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধের পথ বেছে নেয়, তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে, চরম মূল্য। তবে তারা যদি সংযত থাকে, আমরা তাদের সম্মান জানাব এবং পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই রাখব', যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:- মিশরের ‘সিনাই উপত্যকায়’ যাক গাজার ফিলিস্তিনিরা: সাবেক ইসরায়েলি মন্ত্রী

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস এবং জিহাদ আন্দোলন-সহ কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের লাগাতার হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার অবসান ঘটানোর জন্য তারা এই অভিযান চালিয়েছে।

ইসরায়েলের অমানবিক এই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২,৬৭০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৯, ৬০০ জন। দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৫৭ জন, আহত ১২০০ জন। এছাড়া গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে ১০০০ মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।