যে দুই শর্তে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করা হবে, জানালো ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৫ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৫ PM

গাজায় শুরু হতে যাওয়া স্থল অভিযান এমনকি যুদ্ধ বাতিল করা হবে কেবল দুটি শর্তে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো, গাজায় হামাসের জিম্মায় থাকা সকল বন্দীদের মুক্তি এবং দ্বিতীয়টি হলো, বিনা শর্তে হামাসের অস্ত্র সমর্পণ।
ইসরায়েলির সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান অবশ্যম্ভাবী কি না। জবাবে কনরিকাস বলেন, ‘এখানে আমাদের লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা। এটি যদি বিমান হামলার মাধ্যমে এবং আমাদের সৈন্যদের খুব সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমে করা যায়, তাহলে খুবই ভালো। পাশাপাশি কম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি স্থিতাবস্থা তৈরি করা গেলে তবে এটি দুর্দান্ত বিষয়।’
আরও পড়ুন:- মৃত শিশুদের শনাক্তে শরীরে নাম লিখে রাখছেন ফিলিস্তিনি মা-বাবারা!
কনরিকাস আরও বলেন, ‘যদি হামাস লুকিয়ে থেকে, তাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি না দেয়, তারা এখন যেমনটা করছে, তাহলে সম্ভবত আমাদের ভেতরে যেতে হবে এবং অভিযান সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের কথা হলো, আমাদের ২১২ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে দাও, নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করো, তাহলে যুদ্ধ শেষ হবে।’
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে এই যুদ্ধের শেষ অবস্থানটা হবে এমন, হামাস ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে এবং তারা আর কখনোই কোনো ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে না এবং অবশ্যই ৭ অক্টোবর তারা যে ধরনের ভয়ংকর আক্রমণ করেছিল, তা করার ক্ষমতা নিঃশেষ করে দেওয়া। এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন:- গাজায় স্থল অভিযানের বিপক্ষে আমেরিকা!
এদিকে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া দুজনই ইসরায়েলি নারী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। ওই দুই জিম্মির মুক্তির পরও দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে বোমার্বষণ করে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। তাদের এই আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০০ জনই শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৫ হাজার।
এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় ১৪০০ জন। এছাড়া হামাস প্রায় ২১২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে সংগঠনটি।