প্রথমবার গাজায় স্থল হামলা চালালো ইসরায়েল

গাজা
গাজায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী  © এএফপি

গাজায় হামাসের বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলার লক্ষ্যে ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানিয়েছেন, এর আগে ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী ঢুকলেও ট্যাংক নিয়ে গাজায় প্রবেশের ঘটনা এবারই প্রথম। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ট্যাংক এবং পদাতিক বাহিনী বুধবার রাতে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে। 'অনেক' হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক প্রতিরোধী ব্যবস্থাগুলো ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েলের পদাতিক ইউনিট মোট পাঁচটি। গিভাতি ব্রিগেড তারমধ্যে একটি। এই ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণে পারিচালিত হয়েছে বুধবার রাতের অভিযান। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, 'যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের' প্রস্তুতির জন্য এই অভিযান চালানো হয়।

আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যায় ‘আস্থা নেই’ বাইডেনের

অভিযান শেষে এই বাহিনী গাজা থেকে আবার ইসরায়েলে ফিরে গেছে বলেও জানানো হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্যদের হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

সাংবাদিক অ্যালান ফিশার মন্তব্য করেন, ইসরায়েলিরা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে রয়েছে। গতকাল নেতানিয়াহু এবং জো বাইডেনের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। বাইডেন নেতানিয়াহুকে বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থল যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। 

নেতানিয়াহু উল্লেখ করেছেন, তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে এবং কখন স্থল অভিযানের জন্য তাদের বাহিনী এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা।

আরও পড়ুন:- ফিলিস্তিনপন্থী লক্ষাধিক একাউন্ট লক করে দিয়েছে মেটা

এর আগে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আইডিএফ। তবে কখন এই অভিযান পরিচালনা করা হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

নেতানিয়াহু সেই ভাষণে বলেন, ‘বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি এবং এটি কেবল শুরু। মাটির উপরে কিংবা নিচে, গাজার ভেতরে কিংবা বাইরে হোক-হামাসের সব যোদ্ধাকেই মরতে হবে।’

ইসরায়েল গত সপ্তাহে গাজা এবং এর উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ বাসিন্দাকে নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এসব এলাকা ত্যাগ করতে বলেছিল। তবে জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, গাজার উত্তরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা কিছু ফিলিস্তিনি দক্ষিণের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে আসতে শুরু করেছে।