গোটা বিশ্ব মানবতার একটি অংশের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে: জাতিসংঘ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০১ PM , আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০০ PM

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিতস বলেছেন, মানবতার একটি অংশের অকাট্য অধিকার রক্ষা করতে গোটা বিশ্ব ব্যর্থ হচ্ছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার ইসরাইল যখন নিরবচ্ছিন্নভাবে পাশবিক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তখন তিনি এ মন্তব্য করলেন।
একটি এক্স পোস্টে গ্রিফিতস আরো বলেন, ইসরাইলের বোমাববর্ষণের ২০তম দিনে ওই হামলা আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং গাজার যেসব এলাকাকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল সেবসব জায়গায়ও বোমাবর্ষণ চলছে।
জাতিসংঘের মানবিক প্রধান গ্রিফিথস বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাহায্য খুব কষ্টে গাজায় ঢুকছে। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষিত থাকতে হবে এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তা অবশ্যই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:- মুসলিমদের রক্ত ঝরলে পশ্চিমারা আর আইনের তোয়াক্কা করে না: তুর্কি প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের এই পদস্থ কর্মকর্তা এমন সময় এসব কথা বললেন যখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নারকীয় হামলায় প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে লাশের সারি, আহতদের আর্তনাদ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে, উপত্যকাটিতে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় ৭ হাজার ২৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু ২ হাজার ৯১৩জন, নারী ১ হাজার ৭০৯ জন এবং বৃদ্ধ ৩৯৭ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন।
২০ দিন ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজায় দুই লাখ আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন গাজার গণপূর্তমন্ত্রী মোহাম্মদ জিয়ারা। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি গৃহহীন হয়েছেন। মারা গেছেন ১০১ স্বাস্থ্যকর্মী।
গাজার সর্বত্র জরুরি পণ্যের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে ভীষণ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন উপত্যকাটির অধিবাসীরা। এ অবস্থার মধ্যে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় দিনে গাজায় ত্রাণ নিয়ে মাত্র ৭৪টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। অথচ সংঘাত শুরুর আগে স্বাভাবিক অবস্থায় উপত্যকাটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা যেত।জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিতস বলেছেন, মানবতার একটি অংশের অকাট্য অধিকার রক্ষা করতে গোটা বিশ্ব ব্যর্থ হচ্ছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার ইসরাইল যখন নিরবচ্ছিন্নভাবে পাশবিক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তখন তিনি এ মন্তব্য করলেন।
আরও পড়ুন:- ‘কোথাও কোন রুটি নেই, আর আমরা চাই না আমাদের শিশুরা ক্ষুধার্ত ঘুমাক’
একটি এক্স পোস্টে গ্রিফিতস আরো বলেন, ইসরাইলের বোমাববর্ষণের ২০তম দিনে ওই হামলা আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং গাজার যেসব এলাকাকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল সেবসব জায়গায়ও বোমাবর্ষণ চলছে।
জাতিসংঘের মানবিক প্রধান গ্রিফিথস বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাহায্য খুব কষ্টে গাজায় ঢুকছে। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষিত থাকতে হবে এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তা অবশ্যই থাকতে হবে।
জাতিসংঘের এই পদস্থ কর্মকর্তা এমন সময় এসব কথা বললেন যখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নারকীয় হামলায় প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে লাশের সারি, আহতদের আর্তনাদ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে, উপত্যকাটিতে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় ৭ হাজার ২৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু ২ হাজার ৯১৩টি, নারী ১ হাজার ৭০৯ জন এবং বৃদ্ধ ৩৯৭ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন।
২০ দিন ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজায় দুই লাখ আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন গাজার গণপূর্তমন্ত্রী মোহাম্মদ জিয়ারা। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি গৃহহীন হয়েছেন। মারা গেছেন ১০১ স্বাস্থ্যকর্মী।
আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যায় ‘আস্থা নেই’ বাইডেনের
গাজার সর্বত্র জরুরি পণ্যের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে ভীষণ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন উপত্যকাটির অধিবাসীরা। এ অবস্থার মধ্যে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় দিনে গাজায় ত্রাণ নিয়ে মাত্র ৭৪টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। অথচ সংঘাত শুরুর আগে স্বাভাবিক অবস্থায় উপত্যকাটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা যেত।
গাজায় ইসরায়েলি এই ভয়াবহ হামলায় বিনা শর্তে সাহায্য করে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েল সফর করে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুুক্তরাষ্ট্র গোলাবারুদ ও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞে সরাসরি শরিক হয়েছে।