স্থল অভিযানে হামাসের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই চলছে: ইসরায়েল

হামাস-ইসরায়েল
  © রয়টার্স

গাজায় স্থল আক্রমণ অব্যাহত আছে জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর 'ব্যাপক' লড়াই হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, তাদের বাহিনীগুলোর ওপর হামাস যোদ্ধারা অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও মেশিনগান নিয়ে হামলা করেছেন।

স্থল আক্রমণের পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বিমান হামলাও অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, মোট ৩০০-র বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে তারা।

এছাড়া ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য মূলত উত্তর গাজা হলেও তারা 'উপত্যকার সব অংশেই' আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:- গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নাকচ করল নেতানিয়াহু

অন্যদিকে হামাস বলছে, তারা অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল দিয়ে তিনটি ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানকে অ্যামবুশ (অতর্কিত আক্রমণ) করেছে। এছাড়া তারা দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনীর ওপর গোলাবর্ষণ করেছে বলেও জানিয়েছে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। এটি কেবল রাস্তায় রাস্তায় লড়াই নয়, এটিকে "মুখোমুখি" যুদ্ধ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা বলেছে, এটি ইসরায়েলি জনসাধারণের জন্য ক্রমাগত উদ্বেগের কারণ হবে কারণ এটি একটি "ভারী মূল্য" বহন করে। তবে রাস্তায় এই ধরণের লড়াই চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে।

আমেরিকানরা ক্রমাগত ইসরায়েলিদের বলেছে যে তাদের ভিতরে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা দরকার, তবে তারা সেখানে থাকাকালীন তারা কী করবে তাও পরিষ্কার হওয়া জরুরি। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "আমাদের সেই পরিকল্পনা রয়েছে, আমরা সেগুলি জনগণের সাথে ভাগ করতে যাচ্ছি না।"

ইসরায়েল এবং আশেপাশের সবাই এই তীব্র লড়াই দেখছে। হামাস দাবি করেছে যে ট্যাঙ্কগুলি আটকে পড়ছে এবং ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সবাই ইসরায়েলি সংবাদ পরিষেবা এবং সামরিক বাহিনী থেকে পাওয়া সীমিত তথ্য দিয়ে গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করছে।

আরও পড়ুন:- চীনের করা বৈশ্বিক মানচিত্র থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ

এর আগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। 

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তিনি ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে বোমা হামলা বা ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি, তেমনি ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এই নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।