আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় বহু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।

এর আগে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা জানায়। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে প্রাথমিকভাবে ১৩ বেসামরিক জিম্মিকে মুক্ত করবে হামাস। এসময় কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল।

প্রথমদিন যুদ্ধবিরতিতে যা আশা করা হচ্ছে- ইসরায়েলি বন্দীদের প্রথম দল - ১৩ জন মহিলা এবং শিশু - স্থানীয় সময় প্রায় ৪ টায় মুক্তি পাবে।

রেড ক্রস তাদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের হস্তান্তর করবে যারা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করবে।

বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিবের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রথম দিনেই বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল থেকে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

তাদের দুটি ইসরায়েলি কারাগার ড্যামন এবং মেগিদ্দো থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার দক্ষিণে ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে কাছাকাছি একটি ক্রসিংয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিশর থেকে গাজায় অতিপ্রয়োজনীয় মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাস বলছে, প্রতিদিন ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক এবং আরও কিছু ট্রাক জ্বালানি গাজায় প্রবেশ করবে।

সূত্র: আল জাজিরা