তৃতীয় মেয়াদে মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সিসি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ PM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ PM

মিসরের জাতীয় নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের সাবেক জেনারেল সিসি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। এবারের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া ভোটের ৮৯.৬ শতাংশই তিনি পেয়েছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে তাঁকে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছে।
মিসরের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত পরিসংখ্যান অনুসারে, সিসির তিন প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিতভাবে ৫০ লাখেরও কম ভোট পেয়েছেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান হাজেম বাদাউই একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, এবার দেশটিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ৬৬.৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। সাড়ে ১০ কোটি জনসংখ্যার দেশ মিসরে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ।
একই সম্মেলনে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ এল বেন্ডারি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক দিন যেদিন আমরা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ফল সংগ্রহ করি।’
৬৯ বছর বয়সী সিসি এমন এক সময়ে নির্বাচিত হলেন যখন দেশটি একটি নিষ্ঠুর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে এবং পাশের ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের কারণে শঙ্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিসির পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। এ অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারেও সিসিকে দেখা যায়নি। এর বদলে তিনি বরং গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে কায়রো সফরকারী বিদেশি নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে অগণিত বৈঠকের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা এবং গাজার বাসিন্দাদের মিসরের সিনাই উপদ্বীপে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে বারবার সতর্কতা নিজ দেশে সিসির অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনকে অগ্রাধিকার দেবেন সিসি। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সিসির সমালোচকেরা দাবি করেন—বিপুল ঋণ এবং অপ্রয়োজনীয় বড় প্রকল্পে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।