লোহিত সাগরের নীচে কাটা হয়েছে তার, ইন্টারনেট বন্ধের শঙ্কা এশিয়া-ইউরোপে

লোহিত সাগর
  © ফাইল ছবি

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলার পর থেকেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর হয়ে যাওয়া ইসরায়েলগামী সকল জাহাজে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দেয়। এর পর থেকেই লোহিত সাগর নিয়ে ইয়েমেন ও পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলা-প্রতিহামলা চলছে। এরই মধ্যে এবার লোহিত সাগরের নীচে ৪টি প্রধান টেলিকম নেটওয়ার্কের তার কেটে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে, উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটছে এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের টেলিকমিউনিকেশন এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে। ইন্টারনেট বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর তথ্য অনুযায়ী, লোহিত সাগরের নীচে ৪টি প্রধান টেলিকম নেটওয়ার্কের তার কেটে দেওয়ার ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটছে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের। প্রায় এক চতুর্থাংশ ইন্টারনেট ট্রাফিক অন্য পথে সরবরাহকারী সংস্থাগুলোতে নিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে হংকংয়ের টেলিকম সংস্থা এইচজিসি গ্লোবাল কমিউনিকেশনস। এশিয়া এবং ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের ২৫ শতাংশ ট্রাফিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাদের অনুমান।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থা ‘সিকম’ এর তারও কাটা পড়েছে। তারা জানিয়েছে, মেরামতের কাজ শুরু করতে কমপক্ষে আরও ১ মাস লাগবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের কাজ করতে গেলে অনেক অনুমতি নিতে হয়। সেজন্যই সময় বেশি লাগবে। ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়ে অনুমতি পেতে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ততদিন পর্যন্ত বিকল্প পথেই চালু থাকবে ইন্টারনেট।

কে বা কারা এই তার কেটেছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লোহিত সাগরের নীচে তারের ক্ষতির জন্য ইসরায়েল হুথিদের দায়ী করছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলের মিত্রপক্ষের জাহাজগুলোর ওপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এই জলপথে, হামলার মুখে পড়ছে একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজ। যার জেরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সরবরাহের শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছে।

তবে ওই এলাকায় মোতায়েন করা ব্রিটিশ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর এই ক্ষতির দায় চাপিয়েছে হুথিরা। হুথি নেতা আবদেল মালেক আল-হুথি জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সরবরাহকারী এই তারগুলোকে নিশানা করার কোন ইচ্ছা তাদের নেই।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ