ভারতের কাছে ক্ষমা চাইলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২০ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২০ PM

গত বছরের শেষের দিক থেকে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোঃ মুইজ্জু ভারতের সেনাবাহিনীকে সে দেশ থেকে চলে যেতে বললে এই টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষ্মাদ্বীপ ভ্রমণ নিয়ে মালদ্বীপের তিন এমপি কটুক্তি করলে ভারতীয়দের মধ্যে 'বয়কট মালদ্বীপ' ট্রেন্ড চালু হয়। ভারতীয়দের ‘বয়কট মালদ্বীপ’ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। একই সঙ্গে তিনি মালদ্বীপের জনগণের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এরই মধ্যে মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সৈন্যদের আগামীকাল ১০ মার্চের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারতীয় পর্যটকরা ইতিমধ্যে মালদ্বীপকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতীয়রা যদি মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশটির পর্যটনে খাতে। একই সঙ্গে প্রভাব পড়বে অর্থনীতির ওপরেও। সঙ্গতকারণেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ নাশিদ বলেন, ‘ভারতীয়দের মালদ্বীপ বয়কট নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। এটি মালদ্বীপের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। আমি মালদ্বীপের জনগণের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা ছুটি কাটাতে মালদ্বীপে আসুন। আমাদের আতিথেয়তায় কোনো পরিবর্তন হবে না।’
ভারতের প্রশংসা করে নাশিদ বলেন, ‘ভারত সব সময়ই চাপ তৈরি করার পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। তাই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট যখন ভারতীয় সেনাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে, তখন ভারত শক্তি প্রদর্শন করেনি, পেশি প্রদর্শন করেনি। আলোচনা করেছে।’
সম্প্রতি মালদ্বীপ ও চীনের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির সমালোচনা করে নাশিদ বলেন, ‘এটি কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নয়, এটি অস্ত্র পাওয়ার একটি পদ্ধতি। আমার মনে হয় মুইজ্জু সরকার রাবার বুলেট আর টিয়ার গ্যাসের মতো কিছু অস্ত্রপাতি কিনতে চেয়েছে। কিন্তু অস্ত্র দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না।’