ইরানে কখন হামলা করা হবে জানাল ইসরায়েল

ইসরায়েলে
  © সংগৃহীত

ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেল আবিব কী ধরনের পাল্টা হামলা বা ব্যবস্থা নেবে, তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) জরুরি বৈঠক করে ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা। তাৎক্ষণিক জবাব দিতে না পারলেও তেহরানকে এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেল আবিব। কখন কীভাবে এ হামলার জবাব দেওয়া হবে তা-ও জানিয়েছেন ইসরায়েলি নেতারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় তা এখনো বিবেচনা করে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এমনকি হামলার পরপরই জবাব দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরায়েল সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাতে সাফ না করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, তেল আবিবের কোনো প্রকার হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে না ওয়াশিংটন।

ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ জানিয়েছেন, সময়মতো ইরানে হামলা চালানো হবে। ইসরায়েলে হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে ইরানকে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, ইসরায়েল এককভাবে ইরানে হামলা চালাবে নাকি মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালাবে। যদিও সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।  তবে ইসরাইলের সম্ভাব্য পাল্টা হামলার বিষয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড। একইসঙ্গে ইসরায়েলকেও সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ইরান।

টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক কমান্ডার বলেন, ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের প্রতিক্রিয়ার জবাব কঠোরভাবে দেয়া হবে। এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে তেহরান। ইতোমধ্যে হামলায় যোগ দিয়েছে ইয়েমেনের ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

ইসরায়েলে হামলার পর দেশটি পাল্টা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তেহরানের বিপ্লবী গার্ড। ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে যেমন হামলার কথা ছিল তার সবচেয়ে খারাপটা দেখেছে বিশ্ব। এটি অবশ্যই পুরোপুরি আক্রমণ নয়। এটি ইরান কী করতে পারে সেটির প্রদর্শনমাত্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ইসরাইলে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি।

রাষ্ট্রীয় টিভির মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আগেই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তেল আবিব জানিয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে ফেলেছে তারা।