৩০ এপ্রিলের আগে ইরানে হামলা চালাবে না ইসরায়েল!

ইরান-ইসরায়েল
  © ফাইল ছবি

গত ১৩ এপ্রিল প্রথমবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরান। দেশটি তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালায়। এদিকে ইরানের এই হামলার জবাব দিতে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। তবে পাসওভার উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা চালাবে না ইসরায়েল। অর্থাৎ, আগামী ৩০ এপ্রিলের আগে ইরানে হামলা চালাবে না দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। 

ইহুদি ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পাসওভার বা পেসেক বা নিস্তারপর্ব। সপ্তাহজুড়ে চলে এই উৎসব। মূলত মিসরীয় শাসন থেকে ইহুদি জাতির মুক্তির সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। চলতি বছর পাসওভার উৎসব শুরু হবে আগামী ২২ এপ্রিল। চলবে ৩০ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল পাসওভার উৎসবের আগে ইরানে হামলা চালাতে খুব একটা আগ্রহী নয়। তিনি আরও বলেছেন, তবে এই বিষয়টি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীসহ দেশটির নেতৃত্ব এখনো উচ্চমাত্রায় সতর্ক অবস্থা আছে। তাদের অধিকাংশই কোনো না কোনো সেফ হাউস অবস্থা ভূগর্ভস্থ বাংকারে অবস্থান করছেন। 

এদিকে ইসরায়েলি একাধিক সূত্র এবিসি নিউজকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েল অন্তত দুইবার ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে দুইবারই সেই মিশনগুলো বাতিল করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সমরবিদেরা দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সামনে একাধিক বিকল্প হাজির করলেও তারা এখনো খতিয়ে দেখছে কোন উপায়ে হামলা চালালে তা সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে। 

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে। 

জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দাকেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান। 

প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও বেশ তর্জন-গর্জন করছে ইরানে হামলার। দেশটির সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্ব একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি উচ্চারণ করেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। তবে ইরানে কবে ও কখন হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।


মন্তব্য