পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল

রাফার দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী

রাফা
  © ফাইল ছবি

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে উত্তর গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দারা দক্ষিণ গাজার দিকে পালিয়ে আসলে দক্ষিণ গাজায়ও হামলা চালায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান থেকে পালিয়ে মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় অবস্থান নেই অসহায় ফিলিস্তিনিরা। গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ অবস্থান করছে এই ছোট্ট শহরটিতে। বর্তমানে শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে।

এবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় এগোচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযান নিয়ে এরইমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে মিসর। দেশটি বলছে, ইসরায়েলি অভিযানে রাফায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র বলেন, রাফায় স্থল অভিযানের জন্য এগোচ্ছে ইসরায়েল। তবে এ অভিযান কবে শুরু হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি ইসরায়েল সরকারের ওই মুখপাত্র। 

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাফায় ৪০ হাজার তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন করে সেনা থাকতে পারবে।
 
বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের মিত্ররা ও সমালোচকরা রাফায় আক্রমণ করা বন্ধ রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, শহরটি হামাসের অন্যতম একটি শক্তিশালী ঘাঁটি, তাদের পরাজিত করতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানো দরকার।

এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, রাফাতে যে কোনও সামরিক অভিযান মানবিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপর্যয়কর হবে। 

রাফা মিসর সীমান্তবর্তী একটি শহর। ছয় মাস আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই শহরটিতে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল দক্ষিণ গাজা থেকে তাদের বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করেছে কিন্তু দেশটি বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। 

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। 
 
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে আরও হাজার হাজার মরদেহ। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।


মন্তব্য