একমাত্র আমেরিকাই পারে রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট

রাফাহ
  © ফাইল ছবি

গাজা উত্তর ও গাজা দক্ষিণে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার পর অসহায় ফিলিস্তিনিরা দেশটির সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে অবস্থান করছে। ছোট্ট এই শহরটিতে কয়েক লাখ মানুষ অবস্থান নিয়েছে। এবার এই রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। কোন কিছুই তাদেরকে হামলা থেকে আটকাতে পারছে না। তবে একমাত্র আমেরিকা গাজার সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ইসরায়েলের হামলা বন্ধে আমেরিকার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের এই প্রেসিডেন্ট।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের এক বিশেষ বৈঠকে  তিনি এ আহ্বান জানান। 

আব্বাস বলেন, ‘রাফায় আক্রমণ হলে সেটি হবে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। এই ধরণের অপরাধ থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখতে একমাত্র সক্ষম আমেরিকা।’

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা। সেখানেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিকে, গত  ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। 
   
রাফাহ নাগরীটি গাজার মিশরীয় সীমান্তে অবস্থিত। ইসরায়েলের অভিযানের মুখে গাজার বাদবাকী অংশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গিয়ে এ নগরীতে আশ্রয় নিয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে  রাফাহে হামলা চালানোর হুমকি কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিয়ে আসছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার বলেছেন, ‘রাফাহ আক্রমণে স্থগিত হবে যদি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’ 

এদিকে, কাতার ও মিশরের মাধ্যমে হামাসের কাছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রসঙ্গে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। গত ১৩ এপ্রিল তারা কাতার ও মিশরের মাধ্যমে এ প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে। আমরা প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখছি ও পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা শেষে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।’

গতবছর ৭ অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের শুরু করা হামলা এখনও চলছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার ৫৭৫ জন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ