স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফের পদত্যাগ

হামজা
  © ফাইল ছবি

এর আগে খবর পাওয়া গিয়েছিলো স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্বাধীনতাকামী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করতে পারেন। এবার হামজা ইউসুফের পদত্যাগের খবর পাওয়া গেলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মাত্র এক বছর টিকতে পারলেন। অথচ তার দায়িত্বগ্রহণকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে অভিবাসী ও মুসলমানরা তাকে নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন।

প্রথমবারের মতো কোনো মুসলমান হিসেবে হামজা ইউসুফ স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তার পূর্বসূরি নিকোলো স্টার্জেনের পদত্যাগের পর তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিরোধীপক্ষের উত্থাপিত দুটি আস্থা ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কার মধ্যে এ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।

টেলিভিশনের দেওয়া ভাষণে ইউসুফ পদত্যাগের বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি কারণ হিসেবে বলেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে বাণিজ্য করতে চাই না। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করতেও আমি রাজি নই।

তার আগে আট বছর ধরে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিকোলা স্টার্জেন। স্কটল্যান্ডে জেন্ডার সংস্কার, ট্রান্স-জেন্ডার বন্দি এবং স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে যেসব বিতর্ক এবং টানাপড়নে চাপে পড়েন তিনি। একটি তহবিল কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তার নাম জড়ায়। এরপর আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

এরপর থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে জনমত গঠন, স্বাধীনতার প্রশ্নে দলটির ভূমিকা কেমন হবে এবং ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণের স্কটল্যান্ড হিমশিম খাচ্ছে। এবার ইউসুফের পদত্যাগ আরও একটি ধাক্কা দিল।

নিয়ম অনুযায়ী এসএনপিকে ২৮ দিনের মধ্যে নতুন নেতা খুঁজে বের করতে হবে। স্কটিশ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হয়েছে বিভাজন। এটিই দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। নতুন যিনি দায়িত্ব পাবেন; এ বিভাজন ঠেকানোই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ