জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া করলেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা

ফিলিস্তিন
  © সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর এসব হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এছাড়া গাফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় শত শত ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ পচছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন ও অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। এদের মধ্যে অন্যতম হলো জার্মানি। দেশটি ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গিকারাবদ্ধ বলে ঘোষণা করে। এবার গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে দখলদার ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া দিয়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিন জাদুঘরে এ ঘটনা ঘটে। এদিন জাদুঘরটি পরিদর্শনে যান ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান দূত ওলিভার ওকজা। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

জাদুঘরটি অবস্থিত পশ্চিমতীরের বিরজেত বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা রামাল্লাহ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান দূতকে পেছন থেকে ধাওয়া দিচ্ছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা। ওই সময় তারা ‘বের হয়ে যাও, বের হয়ে যাও’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের ধাওয়া খেয়ে জার্মান দূত দৌড়ে গিয়ে তার গাড়িতে উঠে পড়েন।

জার্মান দূত তার গাড়িতে উঠার পর সেটিকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই সময় গুলির শব্দও শোনা যায়।

ইউরোপে দখলদার ইসরায়েলের যেসব মিত্র রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জার্মানি তাদের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী মিত্র।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালান স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এরপর ওইদিন থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে ও ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে সরাসরি ইসরায়েলে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।

এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে সেটির বিরুদ্ধে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।


মন্তব্য