‘ফিলিস্তিনকে তার আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে’

আন্তর্জাতিক
  © সংগৃৃহীত

ফিলিস্তিনকে তার আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অপরাধ এবং তাদের সঙ্গে আমেরিকার জড়িত থাকার ঘটনা দখলদার ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানি জাতির অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যার একমাত্র সমাধান মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিসহ ফিলিস্তিনের আসল মালিকদের কাছে তাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া।

বুধবার, (১ এপ্রিল) এক সমাবেশে বক্তব্যদান কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ইসরাইলের ওপর জনমতের ক্রমবর্ধমান চাপকে প্রয়োজনীয় বলেও অভিহিত করেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী উন্মত্ত কুকুরগুলোর নৃশংস ও নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও ইরানি জাতির অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। ত্রিশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে তারা যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। এই নৃশংসতা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ঘৃণ্য প্রকৃতির চেহারাই ফুটিয়ে তুলেছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে ইরানের স্থায়ী অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে ইসলামি বিপ্লবের নেতা বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যার একমাত্র সমাধান মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিসহ ফিলিস্তিনের আসল মালিকদের কাছে তাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া।

খামেনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে তাদের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হবে ততদিন পশ্চিম এশিয়ার সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের অস্তিত্বকে আরও বিশ-ত্রিশ বছরও যদি এভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়-যদিও সেটা সম্ভব হবে না ইনশাআল্লাহ-তারপরও এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

ইরানের সর্বোচ্চো নেতা বলেন, ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে তাদের করণীয় কী।

এ অঞ্চলের কোনো কোনো দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, যদিও ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যাটা ইসরায়েলি অপরাধের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখা সরকারগুলোর দিকেই পরিচালিত হবে।

সমাবেশে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, লাখ লাখ তরুণ ও যুবক যদি দেশের মৌলিক স্বার্থ ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানে, বন্ধু ও শত্রু ফ্রন্ট সম্পর্কে সচেতন হয় এবং জাতির শত্রুদের টার্গেটের মোকাবেলায় অটল থাকে তাহলে শত্রুদের বিশাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক বিনিয়োগে কোনো কাজ হবে না।

ইমাম খামেনে আরও বলেন, ছাত্র, যুবক ও কিশোর-কিশোরীদের উচিত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সরকারের নীতি ও আচরণের যৌক্তিকতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া। সেইসঙ্গে তাদের জানা উচিত ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ এবং ‘ইসরায়েলের পতন হোক’ স্লোগানের পেছনে কী যুক্তি রয়েছে এবং ইরান কেন কিছু দেশ ও সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক নয়।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ