পশ্চিম তীরে ৫ হাজার ৩০০ বসতি স্থাপনের অনুমতি নেতানিয়াহুর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৫ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৫ PM

যুদ্ধের মধ্যেই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন ৫ হাজার ৩০০ বাসভবন স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলি সরকার। আজ বৃহস্পতিবার এই পরিকল্পনাটি পাস হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা ফের শুরু করতে চান নেতানিয়াহু। এজন্য ইতোমধ্যে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সামনে বড় দু’টি চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। প্রথমটি হলো হিজবুল্লাহ এবং দ্বিতীয়টি হলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান। দু’টো চ্যালেঞ্জই তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য স্পর্শকাতর।
কারণ হিজবুল্লাহর সঙ্গে যদি ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সেই যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর গাজায় অভিযানরত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এখন এত বড় একটি যুদ্ধ চালানোর মতো সক্ষমতা নেই।
অন্যদিকে, সম্প্রতি স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের অন্য অনেক দেশও স্বীকৃতি দেওয়ার পথে রয়েছে। এটি বন্ধ করার জন্যই পশ্চিম তীরে একের পর এক আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনার অনুমোদন দিচ্ছেন তিনি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম তীরে আরও ৫ হাজার ২৯৫টি আবাসন স্থাপন সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা জমা পড়েছে। শিগগিরই সেটিরও অনুমোদন দেবে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি।
তবে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। এসব হামলায় পশ্চিমারা অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিত করে আসছে। পশ্চিমাদের অবাধ সমর্থনের মাঝেই এবার পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমতি দিলো নেতানিয়াহু।
সূত্র : এপি, আল জাজিরা