যোগীর বুলডোজার চলবে: উত্তর প্রদেশের উপমূখ্যমন্ত্রী

উপমুখ্যমন্ত্রী
ব্রজেশ পাঠক  © ফাইল ফটো

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে নেতৃত্বদানকারী মুসলিমদের বাড়ি-ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রদেশটির সরকার। এ প্রদেশের সরকারে রয়েছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্য নাথ। সরকারের বুলডোজার ব্যবহার নিয়ে যখন বিরোধীরা সরব তখন পাল্টা হুংকার দিলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। 

তিনি সতর্ক করেছেন, উন্নয়নকাজে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্যে কোনো জায়গা নেই এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বুলডোজারের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ‘গরিব কল্যাণ সম্মেলনে’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ব্রজেশ পাঠক। তিনি এ সময় বলেন, রাজ্যে আইনের শাসনই সবার ঊর্ধ্বে। যেকোনো বিঘ্ন, বিশৃঙ্খলা ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না।

মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ১০ জুন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) ও শাহারানপুর জেলায় বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত কয়েকজনের বাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে উপমুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। রাজ্য সরকারের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা চলছে।

শুক্রবার ওই সম্মেলনে উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক আরও বলেন, আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অবস্থান অনেক কঠোর।

প্রয়াগরাজ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রোববার বুলডোজার দিয়ে জাভেদ আহমেদ নামের এক রাজনীতিকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অভিযোগ হচ্ছে, ১০ জুনের বিক্ষোভে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন তিনি। মহানবীকে নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে এই বিক্ষোভ হয়েছিল।

আগের দিন শনিবার রাজ্যের শাহারানপুর জেলায় বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন এমন দুজনের সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ১০ জুন শাহারানপুরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের সংঘর্ষ হয়। একই দিন রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌ এবং বিনোর, মোরাদাবাদ, প্রয়াগরাজ ও রামপুর জেলাতেও বিক্ষোভ হয়েছিল।

বিক্ষোভে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের ৮ জেলা থেকে ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এ ছাড়া ১৩টি এফআইআর করা হয়েছে।


মন্তব্য