আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯২০

আফগানিস্তান
ভয়াবহ ভূমিকম্প  © সংগৃৃহীত

আফগানিস্তানে ভয়বহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯২০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে মঙ্গলবার গভীর রাতে আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্প। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে এই ভূমিকম্প হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। এছাড়াও সংবাদ মধ্যমটি ৬০০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে। আর আল জাজিরা শিরোনাম করেছে, ‘শক্তিশালী ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে প্রায় এক হাজার প্রাণহানি’। 

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যে কারণে ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।

এর আগে দেশটির সরকারি মুখপাত্র বিলাল করিমি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যবশত, গত রাতে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এই ভূমিকম্পে শত শত দেশবাসীকে নিহত ও আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর আরও বিপর্যয় এড়াতে আমরা সকল সাহায্য সংস্থাকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় কর্মী পাঠানোর অনুরোধ করছি।

আফগানিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক ঘরবাড়ি একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মৃতদেহ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনা, আহতদের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী এবং খাদ্য পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে শেয়ার করা বহু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবিবে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে স্ট্রেচারে করে আহত ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের দৃশ্য উঠে এসেছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার। 

এদিকে ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএসএসসি) জানিয়েছে, ভূমকম্পটির তীব্রতা উৎপত্তিস্থল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরেও অনুভূত হয়, যার প্রভাব পড়ে  আফগানিস্তান, পাকিস্তান  ও ভারতের অন্তত ১২ কোটি মানুষের ওপর।

পাকিস্তানের রাজধানীর ইসলামাবাদ, লাহোর, মুলতান, কোয়েটাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও এর তীব্রতা অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।  

এর আগে গত শুক্রবার ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইসলামাবাদ, পেশওয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান। এছাড়া ফয়সালাবাদ, অ্যাবোটাবাদ, সোয়াট, বুনার, কোহাত এবং মালাকান্দেও ওই কম্পন অনুভূত হয়।

 


মন্তব্য