আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে

প্রাথমিক
  © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), ময়মনসিংহের মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ফরিদ আহমদ কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন বলেন, সারা দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩১ তে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যেই এ অনুপাত ১:৩০ হবে।

কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে জনাব ফরিদ আহমদ বলেন, ইতোপূর্বে সাতটি বিভাগে আমরা গিয়েছি, তারই ধারাবাহিকতায় এবার ময়মনসিংহে। গত বছর প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি অনেকটা ভালো ছিল। কিন্তু এ বছর কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ কর্মশালার মাধ্যমে কাজের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে চাই। ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এডিবি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রথম সারিতে। প্রায় সকল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার প্রাথমিক শিক্ষার সাথে কাজ করছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় যথেষ্ট অবকাঠামোর কাজ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়নকাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়াও আরও সাত হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্য একটু নজরদারি বাড়ানো উচিত। সমন্বয় ও কাজের তদারকির জায়গায় সমাধান আনতে পারলে যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে চলমান গুণাগুণের সাথে সংগতি রেখে আগামীতে শিক্ষায় আরও মানসম্মত উন্নয়নে কাজ করব।

সচিব বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন অন্যতম উপাদান। আর এই স্মার্ট সিটিজেন তৈরির আঁতুড় ঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের উদারচিত্তে শিক্ষাদানের আহ্বান জানান তিনি।


মন্তব্য