শীতে মধু খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা

মধু
  © ফাইল ছবি

মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য-উপাদান রয়েছে। প্রকৃতির বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর হওয়ায় এটি দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত চিকিৎসা অনুশীলনের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ যা শরীরে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি ক্লান্তি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। শ্বাসকষ্ট নিরাময়, রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে এর জুড়ি নেই।

নিজেদের প্রয়োজনে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল জড়ো করে মৌচাকে। তবে ফুল থেকে আনা একেবারে তরল টাটকা মধুর সঙ্গে মিশে যায় তাদের শরীর নির্গত কিছু যৌগ, উৎসেচক। তারপর সেই মৌচাক ভেঙে নিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়।সারাদেশে সুন্দরবনের মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। খাঁটি, প্রাকৃতিক মধুর অনেক গুণ। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মধু খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়-
চিনির বিকল্প হিসেবে দারুন কাজ করতে পারে মধু। ফলে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম, ফলে শরীরের উপকারি বন্ধু ব্লা যায় মধুকে।

গলা ব্যথা, ছোটখাটো সংক্রমণ, ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে মধুতে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান।

মধু খুব দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। বলবর্ধক হিসেবে মধু দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত।

হজমকারক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে মধুর। শুধু তাই নয় বদহজম বা কোষ্ঠবদ্ধতার মতো সমস্যার সমাধানেও কার্যকর এই প্রাকৃতিক উপাদান।

ভালো ঘুমের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। রাতে ঘুমোনোর আগে এক চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম হয়।

মধুতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। এছাড়াও একাধিক খণিজ পদার্থও পাওয়া যায় এতে। প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ্জ উপাদানের মিলনে এর মধ্যে নানা ধরনের উৎসেচকও মিশে থাকে। তাই সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে মধুর একটা গুরুত্ব থেকেই যায়।

শুধু খেয়ে নয়, মধু ত্বকের জন্যও উপকারি। তাই ত্বক চর্চার ক্ষেত্রেও মধুর ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।

হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়।

শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

শীতে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বককে মসৃণ টান টান রাখতে চাইলে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ