এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে যারা সবসময় দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃহীত

এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে যারা সবসময় দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। দেশে স্থিতিশীলতা রয়েছে। তবে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে যারা সব সময় দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘কে কোন দলের মেয়র তা দেখে কোনো বরাদ্দ দেয়নি সরকার। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছি। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই কাজ করেছি।’

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে করোনার মধ্যেও গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরির কাজ চলেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। রংপুর বিভাগ আমারই করা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা দিয়েছেন। যার ফলে আজকের বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। আমরা এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে, জনগণ যাতে নির্বাচিত করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী করার ফলে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। যদিও অনেকের অন্তর জ্বালা আছে। যারা কোনোদিন ভোটেও জিততে পারবে না, রাজনীতিও করতে পারবে না, জনগণের মুখে সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই তাদের। আমাদের দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা সবসময় গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে। এটা তাদের একটা প্রচেষ্টা, যা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখেছি।


মন্তব্য