ইউটিউব থেকে শিখে মোটরসাইকেল চুরির পেশায় ঢাবি শিক্ষার্থী

ঢাবি
জা মো. সাইমুন (বাঁয়ে) ও সাদমান সাকিব  © সংগৃহীত

কোনো চোরের কাছ থেকে নয়, ইউটিউব দেখে চুরি শিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী রেজা মো. সাইমুন। সঙ্গে আছেন আরও একজন। এই কর্ম করতে গিয়ে ধরাও পড়েছেন তারা।

শনিবার রাতে মিরপুর মডেল থানা এলাকার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে চুরির সময় এ দুই শিক্ষার্থীকে ধরেছে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৩৫ বছর বয়সী সাইমুন ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন ২৯ বছরের সাদমান সাকিব। তিনিও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ঢাবির রেজা বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে ৭টি।

ওসি জানান, রেজা ওরফে তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। কিন্তু স্নাতক শেষ করতে পারেননি। ২০১৫ সালে চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন সময়ে বহিষ্কার হওয়ার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন।

তিনি জানান, এরপর কিছুদিন একটি গানের দলে ছিলেন, বিভিন্ন স্টেজ শো করতেন রেজা। কিন্তু পরে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পরেন। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করেন। বিভিন্ন থানার সাত মামলার মধ্যে দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজাও হয়।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার সাকিব আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন বিষয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভারসিটি অধীনে পিআইপিটিআই থেকে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা করেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত মোটরসাইকেল চুরি অন্যরা কোনো চোরর কাছে শিখলেও রেজা শেখেন নিজে নিজে! আর এ ক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা নেন ইউটিউব থেকে! মোটরসাইকেলের তালা কীভাবে ভাঙে সেটা শিখে প্রথমে নিজের মোটরসাইকেলে প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু করেন চুরি।

ওসি বলেন, প্রথম প্রথম ধরা না পড়লেও পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রেজা। সর্বশেষ ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ মাস জেল খেটে দুই মাস আগে জামিন পান। জামিনে বেরিয়ে শনিবার রাতে আবারও মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।


মন্তব্য