সব বস্তি ও বিপণিবিতানে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: আতিক

ফায়ার হাইড্রেন্ট
ফায়ার হাইড্রেন্ট  © সংগৃৃহীত

আগুন নেভানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব বস্তি এবং বিভিন্ন বিপণিবিতানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, ২০২১ সালের জুনে এ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের পর পরিদর্শনে এসে তিনি দেখেছিলেন এখানে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। সেজন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অগ্নিনির্বাপণ কাজে বস্তিবাসীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সহজ করে বলতে গেলে ফায়ার হাইড্রেন্ট হলো বিশেষায়িত পানির কল, যা রাস্তার ধারে থাকে এবং ভাল্ব খুলে দিলে উচ্চচাপে পানি বেরিয়ে আসে। শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে ফায়ার হাইড্রেন্ট। ফলে কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে হোস পাইপ লাগিয়ে দ্রুত পানি নিতে পারেন।

মেয়র আতিক বলেন, বস্তিগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। যে কোনো জনবসতিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকতেই হবে। আবার শুধু ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেই হবে না, তার সঙ্গে ফায়ার ড্রিল করতে হবে, যারা আগুন লাগলে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, সাততলা বস্তিতে যে হাইড্রেন্ট করা হয়েছে তাতে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এরমধ্যে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত পানি বস্তির মানুষ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৪০ হাজার লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে আগুন নেভানোর জন্য। আগুন লাগার পর এ পানি অন্তত ৪০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।

চৌবাচ্চায় পানি থাকবে, হোস পাইপ থাকবে। পাম্প থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থাপনায় ১৭ জন কর্মী থাকবে। আগুন লাগলে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ড্রিল যারা করেছেন তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। আগুন নেভানোর পাশাপাশি বস্তিবাসীকে নিরাপদে বের হতেও সাহায্য করবেন তারা।

আগুন নেভনোর কাজে বস্তিবাসীদেরও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র আতিক।

মেয়র বলেন, বস্তির টিনের ঘরের চালে রোদ পড়লে তা প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এটা ঠেকাতে টিনের ঘরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে গাছ লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সাততলা বস্তির মতো মহাখালী কাঁচাবাজারেও সমন্বিত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর অন্য মার্কেটেও এ ব্যবস্থা চালু হবে।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মাসুম পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য