মে মাসে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮ জন, আহত ৬৩১

দুর্ঘটনা
  © প্রতীকী ছবি

সারা দেশে চলতি বছরের মে মাসে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৩১ জন। সবচেয়ে বেশি ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৪১ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৫৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১.৭৭ শতাংশ।

মে মাসে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৪০.৯৩ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে। এটি জাতীয় মহাসড়কে ঘটা দুর্ঘটনার (৩৩.৬০ শতাংশ) চেয়ে বেশি। এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে দুর্ঘটনা কিছুটা কমেছে। মে মাসে দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৭৮টি শিশু।

পথচারী ১০৪ জন, যা মোট নিহতের ২৫.৪৯ শতাংশ। দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৭২ জন যানবাহনের চালক ও সহকারী। মে মাসে ছয়টি নৌ দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছে। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দুর্ঘটনাসংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

গত এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ১৬.৫৬ জন নিহত হয়েছিল। মে মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৩.৬ জন। এই হিসাবে মে মাসে প্রাণহানি কমেছে ১৭.৮৭ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ১৪১ জন; বাসযাত্রী ছয়জন; ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, ট্রলি, লরি ও ট্যাংকার আরোহী ৩৬ জন; প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুল্যান্স আরোহী ১৮ জন; তিন চাকার যানের যাত্রী ৬৮ জন; স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৫ জন এবং বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা ও রিকশাভ্যান আরোহী ২০ জন নিহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৭১টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৬টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৭টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৫৪টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৩টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। মে মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, বর্তমানে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব, তরুণ-যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ইত্যাদি কারণেও দুর্ঘটনা ঘটেছে।