ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্রের দাবি মহিলা আনজুমানের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০২:৩৭ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ০২:৩৭ PM

জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩-এ মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক না করার দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরাফের মহিলা আনজুমান। সোমবার (১৯ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনআইডি নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার জন্য ফিঙ্গার ও আইরিস-ই যথেষ্ট। মুখচ্ছবিকে পুঁজি করে বরং অপরাধ ও দুর্নীতি করার সুযোগ তৈরি হয়। এ জন্য তারা এনআইডিসহ রাষ্ট্রের সকল স্থানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আনজুমানের মুখপাত্র শারমিন ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১২ জুন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩-এর খসড়ার অনুমোদন হওয়াকে কেন্দ্র করে আজ আমরা এ দাবি জানাচ্ছি।
পড়ুন>>> নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর দায় স্বীকার করে কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
পর্দানশীন নারীদের রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনে আসতে চাওয়া জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করে বলা হয়, ‘শুধু মুখচ্ছবি দিতে সম্মতি না দেওয়ায় এনআইডি বঞ্চিত হয়ে আছেন অসংখ্য নারী, যারা সরকারের নিবন্ধনের আওতার সম্পূর্ণ বাইরে। অথচ সরকারি ডাটাবেজে সকল নাগরিকের নিবন্ধন থাকা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু পর্দানশীন নারীরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আসতে ইচ্ছুক, তাই বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। এক্ষেত্রে ছবি বাধ্যতামূলক না করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটা নিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে তাদের সাদরে জাতীয় নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া।’
পরিচয় যাচাইয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অনেক বেশি জননিরাপত্তা বান্ধব ও দুর্নীতিরোধক বলে বক্তব্যে বলা হয়। মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে এনআইডিতে ব্যক্তির একটি মুখচ্ছবি থাকে, যার কার্যকারিতা নিরাপত্তার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ।
এ সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে মহিলা আনজুমান ৩টি দাবি করেছেন:
১। প্রস্তাবিত পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২০-এ যেন এনআইডির জন্য মুখছবি বাধ্যতামূলক করা না হয়।
২। শুধু এনআইডি নয়, রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে যেমন অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষার হলে অপরাধ, দুর্নীতি ও প্রক্সি রুখতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে শনাক্তকরণ/হাজিরা চালু করা হোক।
৩। প্রয়োজনে কোনো নারীর চেহারা দেখাসহ কোনো সহযোগিতা যদি প্রয়োজন হয়, তবে পৃথক স্থানে নারীকে নিয়েই নারীর সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হোক।