ইইউ যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে, আপত্তি নেই: ইসি

ইইউ
ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে ইসি  © সংগৃৃহীত

ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো লিমিটেশন নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, 'সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো আসলে ভালো হয়। আরো কিছু ফর্মালিটিস আছে। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স দরকার হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠায় যতখুশি তত কোনো আপত্তি নেই নির্বাচন কমিশনের।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজার্ভার মিশনের সাথে কমিশনের বৈঠক হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, 'তারা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমাদের ভোটার, ভোটকেন্দ্র, পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয় ও সিসি ক্যামেরার বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। তাদের একটা টেকনিক্যাল টিম আমাদের সাথে ১৮ অথবা ১৯  তারিখ বৈঠক করবেন। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। তাদের যে জিজ্ঞাসা ছিল কমিশন তাদের সন্তুষ্ট করেছে। তারা সন্তুষ্ট '

ইইউ প্রতিনিধি দল কোন শর্ত দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, 'তারা আমাদের পরিস্থতি দেখেছে। আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে।  যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে তাতে কোনো লিমিটেশন নাই।'

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনা নিয়ে তারা আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়নি। তারা জানতে চেয়েছে ভোটার সংখ্যা কত।'

কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্ট অসুন্তষ্ট কিছুই প্রকাশ করেননি বলে জানান অশোক কুমার। তিনি বলেন, 'আমাদের দ্বাদশ ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কি না তা জানতে চেয়েছেন। তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।'

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, আমাদের এ পর্যন্ত ৯১১টি নির্বাচন হয়েছে। তাতে সন্তোষ রয়েছে তাদের। পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সেটিসফাইড হলেও তারা আরও আলোচনা করবে। তারা ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকছে। ১৮-২২ জুলাইয়ের মধ্যে তারা আবারও টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বসবে। নির্বাচনকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনার বিষয়টি আজকের আলোচনায় আসেনি।

তিনি বলেন, তারা প্রধান নির্বাচনি প্রস্তুতিটা কী তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের মেইনলি রোডম্যাপ, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। ট্র্যাকেই আছি আমরা। নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কি না সেসব বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন তারা। ইসি সে বিষয়গুলো এক্সপ্লেইন করেছে, তারা সেটিসফাইড।