রোজায় গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা কেজি বিক্রির সিদ্ধান্ত বদলালেন সেই খলিল

মাংস
  © ফাইল ছবি

পবিত্র রমজানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী ও খলিল গোস্ত বিতানের মালিক খলিলুর রহমান। প্রথম রমজানেই ব্যাপক সাড়া পান তিনি; সেদিনই বিক্রির পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় অর্ধকোটি টাকা। তবে সব রেকর্ড ভেঙেছে গত শুক্রবার। ছুটির দিনে তার বিক্রি ছাড়ায় কোটি টাকা, আর সে জন্য গরু জবাই করতে হয়েছে ৫০টি।

কিন্তু এ দামে আর বিক্রি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন খলিলুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘চাপে আছেন তিনি।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে খলিল বলেন, ‘খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।’

খলিলুর রহমান জানান, এখন থেকে তার দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯৫ টাকায় পাওয়া যাবে।

লোকসানে পড়ার কারণ জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারছিলাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরুর কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না।

তবে ‘নানামুখী চাপ’ বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন কিংবা কী ধরনের চাপ আছে, তা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।’ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তখন কম দামে মাংস বিক্রি করে প্রথম আলোচনায় আসেন খলিলুর রহমান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্প্রতি বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।


মন্তব্য