কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১০ PM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২ PM

‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এ স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
আব্দুস শহীদ বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করেন। সে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাফা নেতারা আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
সিন্ডিকেটের তথ্য সংবাদমাধ্যমে আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারাদেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।
বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষক যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে ও বিক্রি করে ভোক্তারা সে দামে পণ্য পায় না। ভোক্তারা কয়েক গুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনে। যার ফলে পণ্যের দামের তফাৎ অনেক বেশি দেখি। এটি সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন। বাড়তি দামের সুবিধা কৃষক পায় না, মধ্যস্বত্বভোগীরা লভ্যাংশ খেয়ে ফেলে, তাদের আটকাতে হবে। এ জন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু এটি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
রোজার শুরু বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনও শুরু হয়নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশিরভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, মানও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময় বেছে নিয়েছি।
বাফা নেতারা জানান, আজ দুপুর থেকে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন।
রাজধানীর ৫ স্থানে এ কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এ উদ্যোগ চলবে এবং পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তরমুজ কেনায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে এবং আজ প্রথম দিন ৫ স্থানে ২ হাজার ৫০০ তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।