আরও ২৬ টি নতুন বিমান কেনার পরিকল্পনা বিমান বাংলাদেশের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৮ PM , আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৮ PM

২০৩৪ সালের মধ্যে নতুন অন্তত ২৬টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণ এবং বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে এই বিমান কিনবে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিমানের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত নতুন এক পরিকল্পনা অনুসারে, নতুন ক্রয়ের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশের ফ্লিট ২১ থেকে ৪৭ এ উন্নীত হবে। অর্থাৎ, ২০৩৪ সাল নাগাদ বিমানের ফ্লিট ১২২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান বহরে ৩০০ আসন বিশিষ্ট কমপক্ষে ৮টি, ২৭০ আসন বিশিষ্ট ৬টি, ১৬০ আসন বিশিষ্ট ৬টি, ৭০ আসন বিশিষ্ট ৪টি এবং ৪০০ আসন বিশিষ্ট একটি বিমান যুক্ত হবে।
এই সম্প্রসারণের ফলে, বিমানের আসন সক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। বর্তমান বিমানের দৈনিক যাত্রী সক্ষমতা ৫,০০০।
বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরিত করার সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নতুন বিমানগুলোর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউইয়র্কসহ নতুন কিছু রুটে ব্যবসা বাড়াতে চায়।
বিমান সূত্রে জানা যায়, নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে এয়ারবাস এবং বোয়িং উভয়ের প্রস্তাবই মূল্যায়ন করছে রাষ্ট্রীয় এই বিমান সংস্থা। ফলে বলা যায়, বোয়িংয়ের অধিপত্য কমে গিয়ে শীঘ্রই সংস্থাটির বহরে বৈচিত্র্য আসতে চলেছে।
ইউরোপীয় ম্যানুফ্যাকচারিং জায়ান্ট এয়ারবাসের প্রস্তাবের পর বিমান বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এয়ারবাস থেকে দুটি কার্গো মালবাহী বিমানসহ ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ ওয়াইডবডি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ক্রয় প্রস্তাব মূল্যায়নের জন্য গত ৫ মার্চ একটি টেকনো-ফাইনান্সিয়াল কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, এয়ারবাসের প্রস্তাবের পর প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িংও রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটির কাছে তাদের নতুন প্রস্তাব জানিয়েছে।
বিমানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এবং সিইও শফিউল আজিম বলেন, "১০ বছর মেয়াদী ফ্লিট এবং রুট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বেশ কয়েক বছর ধরে বিবেচনায় ছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৩০০তম বোর্ড সভায় এটি অনুমোদিত হয়। পরিকল্পনাটি যেকোনো সময় আমরা সংশোধন করতে পারবো।"
"আমরা বছরে দুই থেকে তিনটি বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছি। আমাদের রুটগুলো তৈরি আছে, শুধু অপারেশন শুরু করতে হবে," বলেন তিনি।
যে মার্কেট বাংলাদেশে আছে, তা কাভার করতে চাইলে নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা বসে থাকলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো যেমন– ইন্ডিয়া, থাইলান্ড, ভিয়েতনাম তারা শতাধিক করে এয়ারক্রাফট যোগ করছে। এবং আমাদের মার্কেটও তাদের টার্গেটের মধ্যে আছে।"
তথ্যসূত্র: টিবিএস