তাপ কমাতে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটানো হচ্ছে ঢাকা উত্তরে

তাপ
  © সংগৃহীত

গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজধানীতেও হিট স্ট্রোকে রিকশাচালকের মৃত্যুর হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশে যে গরম বাতাস বয়ে যাচ্ছে তাতে শরীরে যেন আগুন ধরে যাবে। এই অবস্থায় সড়কের উত্তাপ কমাতে এবং বায়ু দূষণ রোধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা সম্ভব হয়।

ঢাকা উত্তর সিটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ লিটার পানি ছিটানো হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকছে। পাশাপাশি ডিএনসিসির স্প্রে ক্যানন দিয়ে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এটি বায়ু দূষণ রোধের পাশাপাশি উত্তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে।

জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির অধীন বিভিন্ন সড়কে এসব বিশেষ যানের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। গত দুই দিনে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়। পরে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১৪ নম্বর গোল চত্বর হয়ে আবার টেকনিক্যাল মোড়ে পানি ছিটানো হয়।

এছাড়া, বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১ এয়ারপোর্ট রোড ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এই কার্যক্রম ‍পরিচালিত হচ্ছে।


মন্তব্য