দেশে পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

মরদেহ
  © সংগৃহীত

প্রতিবছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে নৌকাডুবিতে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মৃত্যুর কবলে পড়েন। তেমনিভাবেই ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যায় ৮ বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন পর তাদের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লাশহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির।

মৃতদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে শেষ রাতে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি।

দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ৩ জন ও নৌকার মাঝি রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)।


মন্তব্য