২০ মে ২০২৪, ১৭:২২

রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

  © ফাইল ছবি

মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করছেন বিশ্বনেতারা। এবার তাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। 

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে লেখা আজ এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়ে বলেন, ‘দুঃখের এই সময়ে, বাংলাদেশ সরকার ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি ইরানের সরকার ও ভ্রাতৃপ্রতীম দেশটির জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট সাঈদ রাইসি একজন জ্ঞানী ও নিঃস্বার্থ নেতা ছিলেন-যিনি তার দেশের সেবায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং ইরানের জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, ‘রাইসি একজন আন্তর্জাতিক মর্যাদার মহান নেতা ছিলেন এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব ও কৃতিত্ব আমাদের জন্য একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার হিসেবে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ভ্রাতৃপ্রতীম ইরানের জনগণকে এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহস ও ধৈর্য ধরার জন্য প্রার্থনা করেন।

গতকাল রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় যান। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তাঁর সঙ্গে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছালেও প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায়  প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হেলিকপ্টারে থাকা সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় নিহত হোন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁরা হলেন—পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, প্রেসিডেন্টের প্রধান গার্ড মেহেদি মুসাভি, হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট এবং ক্রু।