বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা ভারতের; প্রস্তুত খসড়া

রেল
  © ফাইল ছবি

কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে খানিকটা পথ অতিক্রম করার পরে আবার ভারতে প্রবেশ করতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে ভারত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলোতে ট্রেন চলে সিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে, যা ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত। ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এই করিডোরটি বাংলাদেশ ও নেপালের মাঝ বরাবর অঞ্চল দিয়ে গেছে, যা আবার চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ এলাকার মধ্যে পড়ে যায়। ফলে সামরিক এবং বেসামরিক পণ্য পরিবহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ‘চিকেন নেক’ করিডোরের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চাইছে ভারত। মূলত এ কারণেই করিডোরটি এড়িয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরির কথা ভাবছে দেশটির সরকার। ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রকল্পও প্রস্তুত করে ফেলেছে তারা।

বাংলাদেশকে যুক্ত করা ১৪টি নতুন রুট থাকবে এই প্রকল্পে। রুটগুলোতে সবমিলিয়ে রেললাইন থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাওয়া বিকল্প রুটটি। এতে করে সবমিলিয়ে এ প্রকল্পে রেললাইন হবে ১২৭৫.৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পুরোনো রেললাইন বদলে নতুন রেললাইন স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশেও তৈরি করা হবে নতুন রেললাইন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৮০ সালে হওয়া একটি বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাচ্ছে ভারত।

ভারতের নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের সিপিআরও সব্যসাচি দে’ মতে, এ প্রকল্প কলকাতা থেকে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে যাওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। এছাড়া এই রেল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগও আরও মসৃণ করবে। লাভবান হবে দুদেশেরই বাণিজ্য এবং পর্যটনখাত।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ