সেনাবাহিনীর পলিটিক্যাল পাওয়ারে ব্যবহার চান না সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রণক্ষেত্র সারা দেশ। এতে এখন পর্যন্ত ৯৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আনাম খান বলেছেন, যখন দেখি রাস্তা-ঘাটে নিরীহ শিশু, নিরীহ শিক্ষার্থীদের তাজা বুকের রক্তে রাজপথ রক্তক্ত হয়েছে। তখন নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তার জন্যে আমরা দুঃখিত, তার জন্যে আমরা লজ্জিত। এই সংঘাত কি এড়িয়ে যাওয়া যেত? এটা অন্য ইস্যু। ওই ইস্যুতে আমি যেতে চাচ্ছি না।

রবিবার (০৪ আগস্ট) দেশের বিদ্যমান অবস্থায় সংকট নিরসনে করণীয় প্রসঙ্গে রাজধানীর রাওয়া ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, আমি একজন প্রাক্তন সৈনিক হিসেবে বলতে চাই- আমি চাই না এমন একটা পরিস্থিতি আসুক যেখানে আমাদের সেনাবাহিনীকে জনসাধারণের বিরুদ্ধে না দাঁড় করানো হয়। আমি মনে করি, সেনাবাহিনী কোনো পলিটিক্যাল পাওয়ারে ব্যবহৃত হোক, এটা কোনোভাবেই যেন না হয়। আমরা চাই না জনগণ মনে করুক যারা সেনাবাহিনীতে আছে, তারা জনগণের প্রতিপক্ষ হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে সমর্থন করি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জনগণের পাশে থাকতে চাই।’ যদি জনগণের পাশেই থাকতে হয়, তবে বন্দুকের নল জনগণের দিকে তাক করে না। জনগণের পাশে থেকে জনগণকে রক্ষা করাই সেনাবাহিনীর কাজ।

সাবেক এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের চিহ্নিত সরঞ্জাম নিয়ে সেনারা সিভিলিয়ানদের রক্ষা করছে, আর আমাদের দেশে হতাহতের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি আশাবাদী সেনাবাহিনী জনসাধারণের প্রতিপক্ষ হবে না।