মাঠকর্মীরাই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি : প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতু
আওয়ামী লীগকে দলের মাঠকর্মীরাই ধরে রেখেছে  © সংগৃৃহীত

আওয়ামী লীগকে দলের মাঠকর্মীরাই ধরে রেখেছে এবং তারাই দলের জন্য সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠকর্মীরাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) একদিনের টুঙ্গিপাড়া সফরকালে দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়েকালে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সংগঠন কিন্তু সব সময় শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ বিশেষ করে আমাদের মাঠকর্মীরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। তারা কিন্তু পার্টিটাকে ধরে রাখছে। এই কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে।’

মাঠকর্মীরাই সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা’র দোয়া আছে, উপরে আল্লাহ আছেন। আর আমার সব থেকে বড় শক্তি কিন্তু আপনারাই। প্রত্যেকটি কাজ আমরা পরিকল্পিতভাবে করে যাচ্ছি বলে আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলতে হবে। পচাঁত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা তো ক্ষমতায় এসেছে খাওয়া পার্টি হিসেবে, দেওয়ার জন্য নয়। আর আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে মানুষকে দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জন্য করে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে অন্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। মানুষের শক্তিটাই আমার কাছে বড় শক্তি। অন্য কোনও শক্তি নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে, মারার চেষ্টা করেছে; পারেনি। বেঁচে গেছি। আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ হায়াত দেন তাকে দিয়ে কিছু কাজ করাতে। আমি হয়তো সেই হায়াত পেয়েছি বলেই কাজ করতে পারছি। আজকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে চলে আসছি। বাবা-মা সব হারিয়ে এই মানুষের কাছেই তো আসছি। মানুষের ভালোবাসা-দোয়া না থাকলে এতদূর আসতে পারতাম না।’

করোনা মোকাবেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই করোনার সময় উন্নত দেশ, যাদের অনেক টাকা— কই তারা তো কেউ বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেয়নি। কিন্তু আমরা দিতে পেরেছি। সবাই মিলে একযোগে কাজ করতে পেরেছি বলে আজকে করোনা মোকাবিলা, বন্যা মোকাবিলা— যেকোনও অবস্থা আমরা মোকাবিলা করতে পারি। এই দেশটা তো আমি চিনি। দেশটা জানি। জাতির পিতা কিন্তু নিজের জন্য দল করেননি। নিজের ক্ষমতার লোভে বা অর্থ সম্পদের দল করেননি। তিনি দল করেছেন দেশের সাধারণ মানুষের জন্য।কাজেই আমার যেটুকু আছে তা যদি একটা মানুষকে দিতে পারি। আর সে যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এটাই আমার স্বার্থকতা।’

দেশের মানুষের ভাগ্যপরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি চাই, এই দেশের কোনও মানুষ গরিব থাকবে না। কোনও মানুষ না খেয়ে থাকবে না। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলটা অর্থনৈতিকভাবে যাতে উন্নত হয়। দেশের জন্য যতটুকু কাজ করা দরকার, ততটুকু করে যাবো; এটা হচ্ছে আমার অঙ্গীকার।’