২০২৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎসংকট থাকবে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৬ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫৮ PM

২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভয়াবহ বিদ্যুৎসংকটের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশ্ববাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উপাদান প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন সংকটে পড়ে যাবে উন্নয়নশীল দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এমন শঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
জুন মাসে অস্থির দামের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ নিশ্চিতে পথ খুঁজে দেশটি। এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অন্যদিকে জ্বালানি তেল-গ্যাস উৎপাদক দেশ কাতারসহ বিভিন্ন দেশ ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের আগে চুক্তিবদ্ধ জ্বালানি ছাড়া নতুন চুক্তির ভিত্তিতে তেল-গ্যাস বেচবে না।
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল উপাদান তেল-গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। এতে এশিয়ায় লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাসের (এলএনজি) বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। ইউরোপের দেশগুলো গ্যাস ও জ্বালানি মজুতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ফলে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে তৈরি হয় জ্বালানির জোগানে তীব্র সংকট।
এমন চলমান বিদ্যুৎসংকট দীর্ঘ মেয়াদে এসব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিও কমিয়ে দিতে পারে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ বাণিজ্যবিষয়ক বিশ্লেষকরা।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এরই মধ্যে বড় শহরগুলোতে নিয়ম করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার (লোডশেডিং) ব্যবস্থা নিয়েছে।
ব্লুমবার্গের গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশ সাধারণত ৪০ শতাংশ এলএনজি গ্যাস আমদানি করলেও চলতি বছর তা নামিয়ে এনেছে ৩০ শতাংশে। জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে খাপ খেতে গিয়ে দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের কাছ থেকে সহায়তা চাইছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এলএনজি গ্যাস রপ্তানি করতে রাষ্ট্রয়ত্ব সংস্থা পেট্রোবাংলাকে ২ হাজার কোটি টাকা (২১ কোটি ১০ লাখ ডলার) দেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসের যোগান নিশ্চিত না করা পর্যন্ত উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার বিষয়ে বাংলাদেশ ধীর গতিতে এগুবে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলমান চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি কেনার ওপর গুরুত্ব দেবে সরকার, এমনটি জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।