গ্রামীন নারীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোবরের খড়ি

খরচ সাশ্রয়ী,  জ্বলে বেশি ও ধোঁয়া কম  হওয়ায় নীলফামারীতে দিন দিন গ্রামীন নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোবরের তৈরী খড়ি। 

এক সময় বাড়ীর আশে পাশে ঝাঁড় জঙ্গল থেকে বিভিন্ন গাছের লতা -পাতা ,  ডাল,  ছাল, বাকল  দিয়ে গ্রামীন নারীরা জ্বালানির চাহিদা মেটালেও বর্তমান সময়ে সেই রকম ঝাঁড় জঙ্গল না থাকায় এবং রান্নার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় গ্রামীন নিম্নবিত্ত নারীরা ব্যবহার করছেন গোবরের তৈরী খড়ি।

এটি তৈরীতে পাটকাঠি,  পানি ও ধানের  তুষ ছাড়া তেমন কোন উপকরণ প্রয়োজন না হওয়ায় ও  পরিশ্রম কম  এবং অল্প সময়ে অধিক পরিমানে  তৈরী করা যায় বিধায়  দিন দিন গ্রামীণ নারীদের কাছে  জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি।

এতে ব্যবহৃত  গরুর গোবরের সাথে সামান্য পানি ও তার উপরে সামান্য ধানের তুষ দিয়ে ছোট ছোট পাটকাঠি  বা বাঁশের কঞ্চির  চারদিকে হাত দিয়ে চেপে দিলে তা  এতে শক্ত ভাবে আটকে থাকে  এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩ থেকে ৪ দিন রোদে রাখলে শুকিয়ে যায় আর তৈরী হয় গোবরের খড়ি।  যা পরবর্তী  সময়ে  জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  

নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের  আলেয়া খাতুন  ও সেলিনা বেগম এবং পলাশবাড়ীর কনিকা রানী বলেন, গবরের খড়ি তৈরীতে খরচ নেই, আস্তে আস্তে পুড়ে,  তাপ অনেক বেশি হয়। এজন্য অবসর সময়ে তৈরী করি।