মোরগের ডাকে অতিষ্ঠ দম্পতি মামলা করলেন আদালতে

সারা দিন ধরে তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকে পড়শির মোরগ। তাই মোরগটিকে দূর করতেই আদালতে গেলেন এক জার্মান দম্পতি। সারা দিন পাশের বাড়ির মোরগের ডাকে জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার উপক্রম। তাই সেই মোরগের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এক জার্মান দম্পতি। সত্তরোর্ধ্ব ফ্রেডরিক ও জুটটা উইলহেম নামক ওই দম্পতির আবেদন, যেন অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মোরগটিকে।

সত্তরোর্ধ্ব এই বয়স্ক দম্পতি বলছেন, সারা দিন পাশের বাড়ির মোরগের ডাকে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তাই টিকতে না পেরে মামলা করেছেন তারা। মামলা করে আদালতের কাছে তারা আবেদন করেছেন, যেন দ্রুত ওই মোরগটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। মামলা হওয়া ওই আসামি মোরগের নাম মাগডা। 

নিজেদের অভিযোগ নামায় দম্পতি জানিয়েছেন, মোরগটির নাম মাগডা। সকাল ৮ টা থেকে ডাকা শুরু করে সেটি। কোনও কোনও দিন ভোর ৪টেতেও উঠে পড়ে সেটি। ওঠা মাত্রই শুরু হয় ডাক। আর রাত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে সেই ডাক। দিনে গড়ে শ’-দুয়েক বার তীক্ষ্ণ স্বরে ডেকে ওঠে মোরগটি। মোরগের এ হেন তীক্ষ্ণ ডাক দিনভর শোনা অত্যাচারেরই শামিল বলে অভিযোগ তাঁদের। মোরগের অত্যাচারে ইতিমধ্যেই এক প্রতিবেশী বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

এই মোরগের মালিকের নাম মিখায়েল। তিনি আদালতে জানান, মোরগটি অন্যত্র সরানোর কোনো উপায় নেই তার। ২০১৮ সাল থেকে তিনি ৫টি মুরগি পুষছেন। সেই ৫টি মুরগির জন্যই এবার মোরগ পুষতে শুরু করেছেন তিনি।

এদিকে জার্মান ওই দম্পতি জানান, খুব ভোর থেকেই ডাকাডাকি শুরু করে মোরগটি। এই ডাক চলতে থাকে রাত না হওয়া পর্যন্ত। দিনে ২০০ বারেরও বেশি বার ডাকাডাকি করায় বয়স্ক সেই দম্পতির ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে মারাত্মক। 

মোরগের এমন তীক্ষ্ণ ডাক দিনভর শোনা অত্যাচারেরই শামিল বলে অভিযোগ করেছে  ফ্রেডরিক ও জুটটা উইলহেম। মোরগের অত্যাচারে  এক প্রতিবেশী বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।