যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাংলাদেশের জনগণের দাবির প্রতিধ্বনি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরল
  © ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে দাবি ছিল, তার প্রতিধ্বনি।

শুক্রবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ফখরুল। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২৩ মে) থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবস্থান নিয়েছে। এটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।

মহাসচিব বলেন, বিএনপি মনে করে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ দীর্ঘদিন যাবত যে দাবি জানিয়ে আসছিল মার্কিন এই ভিসানীতিতে তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে। 

তিনি বলেন, আমরা আবারও দাবি করছি, এই অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে এবং বিদেশে তার প্রত্যাখ্যাত অবস্থাকে অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আজ, আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা দেয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য জড়িত থাকে।’

এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।


মন্তব্য