আগস্ট মাস এলে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে যায়: কাদের

ওবায়দুল কাদের
  © ফাইল ছবি

আগস্ট মাস এলে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'আগস্ট মাস এলে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে যায়। সত্যের মুখোমুখি হতে তারা ভয় পান।'

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাসের অনেক প্রশ্ন আছে, সেই প্রশ্নের জবাব বারবার চেয়েও বিএনপির কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞেস করেছিলাম- ১৫ আগস্টের খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠাল কে? তাদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করল কে? সেই উত্তর বিএনপির কোন নেতা দেননি। আসলে তারা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে আমি বারবার একই প্রশ্ন করেছি। খন্দকার মোস্তাকের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছিল কে? পঞ্চম সংশোধনী কে করেছিল? এটা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্বাসের লজ্জা করে না? আব্বাস যখন বলেন সংবিধানের কাঁটাছেড়া করেছে আওয়ামী লীগ, তাদের কাঁটাছেড়া সংবিধান আমরা মানি না, মির্জা আব্বাসের লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান এ সংশোধন এনেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করতে।

তিনি বলেন, হত্যা যে করেন আর হত্যায় যে মদদ দেন, উভয়ই সমান অপরাধী। হত্যাকারীদের দুঃসাহস দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের দুঃশাসন না হলে পৃথিবীতে এ ঘটনা ঘটত না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেখলাম ষষ্ঠবারের মতো আরেকটা জন্মদিবস। কোন দিন? ১৫ আগস্ট। আগে কিন্তু ছিল না ১৫ আগস্ট। হঠাৎ করেই ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিবস। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করি- একজন মানুষের কয়টা জন্মদিবস থাকে? ছয় ছয়বার জন্মদিবসের কথা যখন আমি বলি, তখন ফখরুল বলেন শিষ্টাচার বহির্ভূত। এসব মিথ্যাচার, বিষোদগার ক্ষমা করবে না ইতিহাস।

কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনার সব সত্য আমরা এখনো জানি না। সব সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। অজানা অনেক তথ্য রয়ে গেছে। সত্য প্রকাশ হবেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, সেখানে অনেক সত্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এ সত্য আমরা কতজনে স্বীকার করি?

তিনি বলেন, ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কয়েকজনকে ফোন করেছিলেন। কে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন? সত্য যদি বলতে হয়, শুধুমাত্র কর্নেল জামিল ছুটে এসেছিলেন ৩২ নম্বরে। আমাদের কোনো নেতা আসেননি। আমরা কেউ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৩২ নম্বর আসিনি। ঘাতকরা যখন গুলি করছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু কর্নেল জামিলকে ফোন করেছিলেন, কর্নেল জামিল কোনো বাধা মানেননি। তিনি ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভবনের দিকে, আর তাকে পথের মধ্যেই হত্যা করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের বিবেকের কাছে অপরাধী। বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা বড় পদে এসেছি, বড় নেতা হয়েছি। জামিল যে সাহস, আনুগত্য, দেশপ্রেম দেখিয়েছিলেন সেটা কি কোনো পলিটিশিয়ান দেখাতে পেরেছেন? পারেননি। এটাই সত্য।

সূত্র : বাসস।